১০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাড়ছে নদ-নদীর পানি ডুবেছে ফসল,কৃষকের ক্ষতি ১০ কোটি

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৩:২৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৬৭ Time View
গেল কয়েকদিনে বগুড়ার নদ-নদীতে পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলে আবাদি ফসল ডুবে কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন। সোনাতলা উপজেলায় ১৪ হেক্টর জমির ধান ডুবে গেছে। এতে অন্তত ১০ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
এদিকে সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। আগস্টের শেষ দিকে অথবা সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতিও নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
কৃষি বিভাগ সুত্র জানায়, কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি ও ঢলে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতায় সোনাতলা উপজেলার তেকানী চুকাইনগর ও পাকুল্যা ইউনিয়নের আবাদি ১৪ হেক্টর জমির আমন ধানের ফসল পানির নিচে ডুবে গেছে। এলাকার কৃষকেরা ধানের চারা রোপনের ২০-২৫ দিনের মাথায় এ পরিস্থিতি সৃষ্ট হয়। উপজেলার মধুপুর, জোড়গাছা, সোনাতলা সদর, বালুয়া ও দিগদাইড় ইউনিয়নে ডুবেছে শতশত বিঘা জমির ফসল। কৃষকের চাষকৃত আগাম মরিচের চারা পানিতে ডুবে নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, টানা বর্ষণ ও ঢলে নদী এলাকার নিচু জমির ধান পানিতে ডুবে গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে পানি কমে যেতে পারে। এতে ধান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম হবে। এখন পর্যন্ত এ উপজেলায় কৃষকের প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
গতকাল(২০ আগস্ট)সারিয়াকান্দি উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, যমুনা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার অনেক নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যার আতঙ্কে আছেন যমুনাপাড়ের বাসিন্দারা। গেল কয়েকদিন ধরে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার রহমান বলেন, বন্যার আশঙ্কা থাকলেও এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য বার্তা দিয়েছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের আগাম প্রস্তুতি আছে। বেশকিছু আশ্রয়ন কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ত্রাণ সহায়তার জন্য জেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।
বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক জানান, উজানের ভারী বৃষ্টি এবং ঢলের কারণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অথবা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের তথ্য অনুযায়ী, এই মাসের শেষের দিকে অথবা সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই যমুনা নদীতে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

বাড়ছে নদ-নদীর পানি ডুবেছে ফসল,কৃষকের ক্ষতি ১০ কোটি

Update Time : ০৩:২৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
গেল কয়েকদিনে বগুড়ার নদ-নদীতে পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলে আবাদি ফসল ডুবে কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন। সোনাতলা উপজেলায় ১৪ হেক্টর জমির ধান ডুবে গেছে। এতে অন্তত ১০ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
এদিকে সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। আগস্টের শেষ দিকে অথবা সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতিও নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
কৃষি বিভাগ সুত্র জানায়, কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি ও ঢলে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতায় সোনাতলা উপজেলার তেকানী চুকাইনগর ও পাকুল্যা ইউনিয়নের আবাদি ১৪ হেক্টর জমির আমন ধানের ফসল পানির নিচে ডুবে গেছে। এলাকার কৃষকেরা ধানের চারা রোপনের ২০-২৫ দিনের মাথায় এ পরিস্থিতি সৃষ্ট হয়। উপজেলার মধুপুর, জোড়গাছা, সোনাতলা সদর, বালুয়া ও দিগদাইড় ইউনিয়নে ডুবেছে শতশত বিঘা জমির ফসল। কৃষকের চাষকৃত আগাম মরিচের চারা পানিতে ডুবে নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, টানা বর্ষণ ও ঢলে নদী এলাকার নিচু জমির ধান পানিতে ডুবে গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে পানি কমে যেতে পারে। এতে ধান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম হবে। এখন পর্যন্ত এ উপজেলায় কৃষকের প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
গতকাল(২০ আগস্ট)সারিয়াকান্দি উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, যমুনা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার অনেক নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যার আতঙ্কে আছেন যমুনাপাড়ের বাসিন্দারা। গেল কয়েকদিন ধরে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার রহমান বলেন, বন্যার আশঙ্কা থাকলেও এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য বার্তা দিয়েছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের আগাম প্রস্তুতি আছে। বেশকিছু আশ্রয়ন কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ত্রাণ সহায়তার জন্য জেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।
বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক জানান, উজানের ভারী বৃষ্টি এবং ঢলের কারণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অথবা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের তথ্য অনুযায়ী, এই মাসের শেষের দিকে অথবা সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই যমুনা নদীতে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।